সিরাজগঞ্জ জেলার বেশ কিছু ঐতিহাসিক এবং দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেগুলো পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়। নিচে সিরাজগঞ্জ জেলার কিছু বিখ্যাত স্থানের তালিকা দেওয়া হলো:
যমুনা সেতু (বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু)
এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম সেতু এবং এটি দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। সেতুর আশপাশের পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম।
রায়পুর জমিদার বাড়ি
ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি, যেখানে প্রাচীন বাংলার জমিদারদের স্থাপত্যশৈলী ও সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়।
হাটিকুমরুল নবাবের মসজিদ
এটি একটি প্রাচীন এবং দৃষ্টিনন্দন মসজিদ, যা ঐতিহাসিক স্থাপত্যের অন্যতম উদাহরণ।
চলন বিল
বাংলাদেশের বৃহত্তম বিলগুলোর মধ্যে একটি। বর্ষাকালে এটি মনোরম জলাভূমিতে পরিণত হয়, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
তাড়াশ রাজবাড়ি
ঐতিহাসিক একটি প্রাসাদ, যা স্থানীয় রাজাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রকাশ করে।
এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মাজার
এটি একটি ধর্মীয় স্থান এবং এখানে প্রতি বছর অসংখ্য ভক্ত সমবেত হন।
মহেশপুর জমিদার বাড়ি
এটি সিরাজগঞ্জের আরেকটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, যা ঐ সময়ের জমিদারদের জীবনযাত্রার একটি উদাহরণ।
কাজীপুরের যমুনার চর
যমুনা নদীর চরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্থানীয় গ্রামীণ জীবনের অভিজ্ঞতা নেওয়ার একটি জনপ্রিয় স্থান।
শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি
নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত স্থান। এটি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ ও তার ঐতিহাসিক ভবন
একটি প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যার স্থাপত্য শিল্প দর্শনীয়।
নলকা সেতু
সিরাজগঞ্জের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। এটি যমুনা নদীর উপর নির্মিত এবং একটি সুন্দর পরিবেশের মাঝে অবস্থিত।
সোহাগপুর শহীদ স্মৃতিসৌধ
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান, যেখানে ১৯৭১ সালে গণহত্যার শিকার শহীদদের স্মরণে এই সৌধ নির্মিত হয়েছে।
চৌহালী যমুনার কোল
যমুনা নদীর পাড়ে অবস্থিত, যেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এটি পিকনিক এবং মাছ ধরার জন্য জনপ্রিয় স্থান।
বাঘাবাড়ি নদীবন্দর
বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর। এর পরিবেশ এবং চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।
ধুবিল জমিদার বাড়ি (উল্লাপাড়া)
প্রাচীন জমিদারদের নির্মিত আরেকটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। এটি ঐতিহাসিক এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়।
কাজীপুর ফিশারি ও চর অঞ্চল
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মাছ চাষের জন্য বিখ্যাত। নদী এবং চর অঞ্চলের অনন্য পরিবেশ মনোমুগ্ধকর।
বেলকুচি তাঁত শিল্প এলাকা
বেলকুচি বিখ্যাত তাদের তাঁত শিল্পের জন্য। এখানকার হ্যান্ডলুম শাড়ি ও গামছা সারা দেশে জনপ্রিয়।
কামারখন্দের নীলকুঠি
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত নীলচাষের ঐতিহাসিক স্থাপনা। এটি ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ।
রায়গঞ্জের চলন বিলের পাখির অভয়ারণ্য
এখানে শীত মৌসুমে প্রচুর অতিথি পাখি আসে, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ।
বসাকপুর জমিদার বাড়ি (তাড়াশ)
আরেকটি জমিদার বাড়ি, যেখানে প্রাচীন বাংলার স্থাপত্যরীতি দেখা যায়।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন
প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক রেলওয়ে স্টেশন, যা ব্রিটিশ আমলে নির্মিত।
তাড়াশের জোড় মসজিদ
প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর আরেকটি মসজিদ, যা ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে।
শাহজাদপুর চামড়া শিল্প এলাকা
এই এলাকাটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান চামড়া উৎপাদন এলাকা। এটি স্থানীয় অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে।
কোডালিয়া বিল (সলঙ্গা)
একটি সুন্দর বিল যা স্থানীয় জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এবং ভ্রমণকারীদের জন্য মনোমুগ্ধকর।
সলঙ্গা বিদ্রোহ স্মৃতিস্তম্ভ
সলঙ্গা বিদ্রোহের শহীদদের স্মরণে নির্মিত। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
খাসরাজবাড়ি জমিদার বাড়ি (কাজীপুর)
জমিদার আমলের অনন্য স্থাপত্য। এটি ইতিহাস ও ঐতিহ্যপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ।
উল্লাপাড়া বৈদ্যনাথ জিউ মন্দির
সিরাজগঞ্জের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি প্রাচীন মন্দির, যা ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে।
শাহজাদপুর পাট শিল্প এলাকা
পাট উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য বিখ্যাত। এখানকার পাটশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যমুনার বিস্তীর্ণ চর
যমুনার চরের দৃশ্য, স্থানীয় সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য উপযুক্ত।
চলন বিল মৎস গবেষণা কেন্দ্র
এই গবেষণা কেন্দ্রটি মাছের প্রজাতি ও চাষ সম্পর্কে কাজ করে এবং ভ্রমণকারীদের জন্য শিক্ষামূলক।